বগুড়া নিউজ ডট কম : বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন বগুড়া সদরের আশোকোলার রুবেল হোসেন। লিখিত বক্তব্যে রুবেল হোসেন বলেন, আশোকোলা মৌজার ৪৫ নং সিএস খতিয়ান ভুক্ত সাবেক ১৯৬৬ দাগের ০৪ শতক সম্পত্তি আমার শ্বশুড় খয়ের আলী আকন্দ ১৯৪০ সালে ২৯ জুলাই তারিখে আজু মন্ডল ও আব্বাস আলী মন্ডলের নিকট হতে সিএসমূলে ক্রয় করে ভোগ দখল করবে। ফলে খয়ের আলীর বংশধরেরা এই সম্পত্তি ভোগ দখল করবে। যার ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে বগুড়া সদরের আশোকোলা আকন্দ পাড়ার মৃত রমজান আলী পুত্র ও নুনগোলা ইউনিয়ন জামাতে ইসলামের সাবেক আমির মোয়াজ্জেম হোসেন (৫০) ও মৃত জনাব আলীর পুত্র ওয়াজেদ আলী (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করচেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। উক্ত ০৪ শতক জায়গা নিয়ে ইতিপূর্বে গত বছর জমিজমা বিরোধের সালিশে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার লোকজন মারপিট করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। পরবর্তিতে নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের নিকট ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের সাথে সালিশী বৈঠকে মোয়াজ্জেম হোসেন ও ওয়াজেদ আলী তাহাদের কাগজ পত্র কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে মোয়াজ্জেম হোসেন ও ওয়াজেদ আলীর কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হলে খয়ের আলী বংশধরদের জমি ভোগ দখলের জন্য লিখিত দেন।
রুবেল হোসেন আর বলেন, জমি ভোগ দখল করার চেষ্ঠা করতে থাকে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তার লোকজন। এর প্রেক্ষিতে গত গত ২ জুন ২০১৮ইং তারিখে সকালে মোয়াজ্জেম হোসেন (৫০), রুহুল আমিন চাঁন মিয়া (৩০), আল আমিন (২৮), রেজাউল করিম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৩৫) , সাব্বির হোসেন (২৫) ও মো আবুল হোসেন (৫৫) সহ আরও বেশ কয়েকজন অপরিচিত লোক নিয়ে রুবেল হোসেনের বাড়িতে হামলা করে মারপিট করে। এসময় তার ভাই সোহরাব হোসেন ও সোহরাব হোসেনের স্ত্রী পারুল বেগম মারপিট করে বাড়িঘর ভাংচুর করে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে ১২ আনা স্বর্ণেও চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপরদিকে রুবেল হোসেনের চাচাতো ভাই আব্দুল মতিন ও আমজাদ হোসেনের বাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি করে বলে জানান তিনি।
পরবর্তিতে এঘটনায় তারা আহত হয়ে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। পরে থানায় মামলা না নিলে বগুড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিঃ সদর আদালতে রুবেল হোসেনের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে রুবেল হোসেন তার পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পরিবার সন্তানদের পড়াশোনা প্রায় বন্ধের পথে। তাই রুবেল হোসেন বগুড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করতে পারেন এবং আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে দোষিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।